পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে মো. জাহাঙ্গীর সরদার (৪৩) ও মোসাঃ আসমা বেগম (৩৫) কে মারধরের খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চর মোন্তাজ ইউনিয়নের চর বেষ্টিন গ্রামে। জাহাঙ্গীর সরদার হচ্ছেন ঐ গ্রামের দেলোয়ার সরদারের ছেলে। আর মোসাঃ আসমা বেগম হচ্ছেন একই গ্রামের আবু তালেব হাওলাদারের স্ত্রী। আসমা বেগম জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে জাহাঙ্গীর সরদারের ক্রয় করা বাড়িতে প্রতিপক্ষরা ঘর উত্তোলনের চেষ্টা করেন। এতে বাধা দিলে আমাকে ও আমার ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীরকে লাঠি শোঠা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে আমাদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এসে পরলে মারধরকারীরা পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী আমাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করেন। আমাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবাদানকারীরা গলাচিপা হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন। পরে এলাকাবাসী আমাদেরকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, আসমা বেগমের শরীরে কালো কালো মারধরের চিহ্ন আছে ও জাহাঙ্গীর সরদারের বাম হাতের কনিষ্ঠা আঙ্গুল কেটে যায়, এতে সেলাই লাগে। আমার চিকিৎসাধীনে ২য় তলায় ৭ ও ৯নং বেডে ভর্তি আছে। এবিষয়ে জাহাঙ্গীর সরদার বলেন, তফসিল বর্নিত রেজিস্ট্রি অফিসে এই জমিটি আমি দলিল করি। যার দলিল নম্বর ৪৪৮। প্রতিপক্ষরা আমার ক্রয়করা বাড়ির জমি ভোগ দখল করে নেওয়ার জন্য আমাকে ও আমার শালীকাকে মারধর করে। তিনি আরও বলেন, আমাদের একই গ্রামের বাচ্চু খন্দকার, হানিফ খন্দকার, সজীব খন্দকার, ইউসুফ খন্দকার, রাকিব খন্দকার, বেল্লাল খন্দকার, বারেক হাওলাদার এরা একত্রিত হয়ে আমাদেরকে মরধর করে। আমরা কোন বিচার এখন পর্যন্ত পাই নাই। এ বিষয়ে বাচ্চু খন্দকার ও হানিফ খন্দকারের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তাদের ফোন বন্ধা পাওয়া যায়। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আনোয়ার হাওলাদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ মিয়া বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি, দেখব। চরমোন্তাজ পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মোঃ বেল্লাল মারামারির ঘটনায় ফাঁড়ি থেকে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে মোসাঃ আসমা বেগম পটুয়াখালী পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের বরাবরে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানান।